ফেটে যায়
ভাস্কর চৌধুরী
মানুষ সবই পারে করতে নাকাল বাড়াতে আকাল
পিঁপড়ার ঠ্যাং ধরে করে দেয় রাত্রি বিকল
ভাতের মতো পড়ে আছে সোনা সোনার মতো ভাত
শুয়ে আছে এক কাতে নারীর মতো রাত
দুটি হাত তার প্লেনের ডানার মতো মেলে আছে
হাতে মাটি ছেঁড়া কয়েকটা ঘাস
কারা এসে বেড়ার বাঁধন কেটে নিয়ে গেছে দেহের নির্যাস
মানুষ সবই পারে। কেটে রাখে নারীর স্তন যৌন ভাগ
অভাগা গরিবের মেয়ে নাইকো জিরাত কোন খাতে দেবে
খাজনা রাজার ঘরের দরজায় এসে গেছে ডিক্রি সমন চল সমীরণ
তোর গায়ে যা আছে আয় সকলেই লুটে পুঁতে খাই
মানুষ সবই পারে। প্রতিবাদে তার
বাপ রুখে দাঁড়তেই দুষ্ট ছেলের মতো কেটে দিলো বাপের দুহাত
যেনো বা ফড়িং নিয়ে খেলছিলো কেটে দিলো পাখা ছেঁটে
দিলো মাথা উবড় করে রেখে দিলো রোদে
হলো না নিস্তার দিন যদি চলে যায়
মানুষ রাত্রি চায়
আলোর বদলে চায় অনেক আঁধার ফেটে যায় বুক বোতলের
মতো ফাটে দুঃখ ফাটে জল অমল অমল কলকল
ফেটে যায় কামুক দেহ থেকে আরেক দেহের ভেতরের কল
উম্মুল যৌবন যায় পথ চিরে যায় সাথে বিচিত্র মহল
ফেটে যায় রে খোলা পথে সাত রানীর ধন সীতার রুপালি যৌবন
সীতা নারী কে বলতে পারি কোর্টের পেছনে বাড়ি মল টানে গানে গানে
সবই পায় পেলো না নিস্তার রাতের আঁধার কেড়ে নিলো সীতাহার
ফেটে যায় গুপ্ত নোহর
মানুষ সবই পারে কারে করে নেবে ধরে রাতের আঁধারে
যেনো কয়েকটি মোরগ চায় রাতের পিকনিক
হল্লাহীন ডোবার ধারে ফাটিয়ে দিলো আল্লাহর দোহাই না মেনে জীবনের ছাই
মানুষও ছাই হয়ে ফেটে উড়ে যায়
সোনার লাহান মাটির বাড়ি সেসব ছাড়ি যেতে হয়
মানুষ সবই পারে থেকে গেলে দুদিন দুনিয়ায়
পরের ঘাড়ে চড়ে চলে যায় কাঠের চিতায়
মনের ভেতর সেই সোনা ঘর হয়তো পাথর কিছুই কাজের নয়
শার্টের মতো গায়ে দিয়ে রক্তের আয়ু প্রাণ বায়ু
ফেটে গেলে বেলুনের মতো আকাশ থেকে হেলতে দুলতে পড়ে যায়।
নির্ধারিত ছিলো সব
ঘটনা ঘটিয়ে ফাটিয়ে দিয়ে জন কলরব
চলে যায় ট্রেন গোটা পৃথিবী তার একটা লাইন।
No comments:
Post a Comment